শিশুদের মানসিক বিকাশ
শিশুরা জন্মের সময় থাকে অবুঝ।তারা পৃথিবীতে আসে একেবারেই জ্ঞানহীনভাবে।তারা যত বাড়তে থাকে আশেপাশের সবকিছু শিখতে থাকে।আর শেখার এই বয়সটাতে তারা হয় অসম্ভব কৌতুহলী।সব কিছু জানার আগ্রহ তাদেরকে গ্রাস করে।এ থেকেই বোঝা যায় তাদের মনঃস্তাত্বিক বিকাশ হচ্ছে।আমাদের আশেপাশে তাকালেই দেখা যায় অনেকেই বিরক্ত হচ্ছেন বাচ্চাদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে।কেউ কেউ হয়ত বলেন বাচ্চাটা এত প্রশ্ন করে!আসলে তারা জানতে চায়,তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতেই তারা নানা বিষয় সম্পর্কে প্রশ্নে প্রশ্নে জর্জরিত করে আমাদেরকে।তাদের এই কৌতুহলকে আমরা ক’জনই বা মূল্য দেই?বরং তাকে এড়িঁয়ে যাই বা বোকা দিয়ে চুপ করাতে চাই।কিন্তু এভাবে কী আমরা শিশুদের সঠিকভাবে বাড়তে দিচ্ছি?তাদের মানসিক বিকাশ কী সঠিকভাবে হচ্ছে?না হচ্ছেনা।তাই আসুন জেনে নিই কিছু উপায়।কিভাবে আমরা তাদের মনঃস্তাত্বিক বিকাশে সহায়তা করতে পারি।-শিশুদের জানার আগ্রহকে প্রাধান্য দিতে পারি।তারা কোন প্রশ্ন করলে তাকে তার উত্তর সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে পারি।-তারা যাতে নিজে থেকে কোন কিছু আবিষ্কার করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে পারি।ঘরের চার দেয়ালে আটকে না রেখে বাইরের জগৎ সম্পর্কে ধারণা দিতে পারি।-অনেক সময় বাচ্চারা কোন কিছু ধরলে আমরা তাদেরকে বাঁধা দেই।হয়তবা সেটা বিপদজ্জনকই।কিন্তু ভেবে দেখুন আমরা তাকে সেটা সম্পর্কে কোন প্রকার ধারণা না দিলে জিনিষটির প্রতি তাদের কৌতুহল বাড়বে বই কমবে না।-লেখাপড়া ছাড়াও আরো বিভিন্নভাবে শিশুরা শিখতে পারে।তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান।যেমন-যাদুঘর বা খেলার মাঠ,খোলা প্রান্তর কিংবা রাস্তাঘাট।নিজের চোখে নিজের মত করে দেখেই তারা শিখতে পারবে ভালো।-ছোট বাচ্চারা হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে রান্নাবান্নার খেলা খেলে থাকে।এতে কিন্তু তাদের সামাজীক জীবন সম্পর্কে ধারণা জন্মে।তারা পরিবার ও সমাজ সম্পর্কে মানসিক ধারণা নিতে পারে।তাই এই খেলায় বাঁধা না দিয়ে বাস্তবিক দিকগুলোও তাদের সামনে তুলে ধরতে পারি।-পড়ার বই এর পাশাপাশি অন্য বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে শিশুদের উদবুদ্ধ করতে পারি।সাথে করে নিয়ে লাইব্রেরিতে যেতে পারি।মোট কথা শিশুদের মানসিক বিকাশ তখনি সম্ভব যখন তারা নিজে থেকে কোন কিছু আবিষ্কারে আনন্দ খুঁজে পায়।আর আমদেরকে হতে হবে সাহায্যকারী।আসুন শিশুদের কৌতুহলী মনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তাদের মনঃস্তাত্বিক বিকাশে সাহায্য করি আর তাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াই।
0 comments:
Post a Comment